ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি অনলাইন নির্ভর হওয়ায় বেকারদের জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।কারণ এখানে অফলাইনের মতো লাখ লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না।নামমাত্র মুনাফা নিয়েই একজন ব্যক্তি নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারেন।
ভালো লাগা থেকে বাচ্চাদের ড্রেস নিয়ে কাজ শুরু করি অনলাইনে। এরপর ক্রেতাদের চাহিদা বোঝে যুক্ত করি ফ্যামেলি ম্যাচিং ড্রেস। অর্থাৎ মা-বাবা-সন্তানের একই কাপড় এবং নকশার পোশাক। এটিই মূলত রাতারাতি পরিচিতি আর সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। ফ্যামেলি ম্যাচিং ড্রেসের মাত্র একটি ডিজাইন থেকে বিক্রি হয়েছে ২ লাখ টাকার বেশি। আফাফ ক্রিয়েশনে সর্বশেষ যুক্ত করেছি দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি।
সাজিদ আসবাত খন্দকার এবং সৌরদীপ পাল (BRAC A) এ বছরের Worlds University Debate Championship (WUDC) এর open category-এর গ্র্যান্ড ফাইনালে চ্যাম্পিয়ান! এই প্রতিযোগিতাটাকে আন্তর্জাতিক বিতর্কের জগতের world-cup বিবেচনা করা হয়।
২০১৬ সালে যখন কাপড় নিয়ে কাজ শুরু করেছি তখন পেজ ছিল। কিন্তু নতুন করে ২০২০ সালে শুরু করার সময় এসব কিছুই ছিল না শুধু নিজের পরিচিতি ছাড়া। তখন ই-কমার্স অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ স্যারের দিকনির্দেশনায় ফেসবুকে একটিভ হয়ে নিজেকে পরিচিত করেছি। সে পরিচিতি আর বিশ্বাস থেকে আমার সকল ক্রেতাগণ ইনবক্সে অর্ডার দেন। বর্তমানে আমার পেজ-গ্রুপ এবং প্রোফাইল থেকে তারা (ক্রেতা) ইনবক্সে অর্ডার করেন।
কোন প্রকার মার্কেটিং ব্যয় ছাড়াই নিয়মিত বিক্রি করছেন আবায়া, বোরখা ও হিজাব। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণী পর্যন্ত সব শ্রেণির মেয়ে ও নারীরা মুনিরার ক্রেতা। তারা নিজে ব্যবহার করার পাশাপাশি উপহার দেন নিকটাত্মীয়দের। শতাধিক ক্রেতা আছেন যারা আবায়া স্টোরিতে কেনাকাটা করেন বার বার। এসব ক্রেতারা পণ্য ব্যবহারের পর ফেসবুকে রিভিউ দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
উদ্যোক্তাদের জন্য বিজনেস অনেক বড় একটা জায়গা।যেখানে বিভিন্ন টার্ম,প্রসেস,নিয়মকানুন,দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয় অবস্থান করছে।এখানে প্রতি মুহুর্তে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ছে আবার অনেকে এখান থেকে হারিয়েও যাচ্ছে।
কাস্টমার যখন উদ্যোক্তার কাছ থেকে কোনো পণ্য নেয় তখন তার পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করে তবেই নিয়ে থাকে।কিন্তু কিছু কিছু উদ্যোক্তারা আছেন যারা কাস্টমারের উপর নিজেদের ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেন।
উদ্যোক্তা হয়ে যদি আপনিও এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করেন তাহলে কি হবে?ধরুন আপনি আপনার পণ্যের ডেলিভারি করতে যাচ্ছেন,এরকম সময়ে পিছন থেকে অন্য একজন কাস্টমার আপনাকে ডাকলো।আপনি কি করবেন?কুসংস্কারে আছে কেউ পিছন থেকে ডাকলে ক্ষতি হয়, এটা ভেবে কি কাস্টমারকে পাত্তা না দিয়ে চলে যাবেন?
বিজনেসে রয়েছে অনেক ঝামেলা, ভেজাল।এখানে টিকে থাকতে হলে সবদিক উদ্যোক্তাদের একাই সামলে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।তাই কেউ নেগেটিভ কথা বললে মন ভেঙে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
একজন অপরিচিত মানুষের সাথে আমাদের যখন প্রথম দেখা হয় কিংবা কথা হয় তখন অবচেতন মন ব্যক্তিটির কার্যকলাপ,স্টাইল ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় প্রত্যক্ষ করে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে ঐ মানুষটার ব্যাপারে ভালোলাগা/মন্দলাগার সৃষ্টি করে।আর এটাই ফার্স্ট ইম্প্রেশন নামে পরিচিত।
যন্ত্রণাদায়ক এক পতঙ্গের নাম, মশা। আমাদের দেশে মশা নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। যন্ত্রণার থেকেও ভয়ের হল মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মত রোগগুলো।
কিশোর ক্লাসিকস সিরিজে থাকা জেন আয়ার এবং গরিলা শিকারী গল্প দুটো বিপদাপন্ন ব্যক্তিদের সাহায্য করার অন্যতম সেরা উদাহরণ।`জেন আয়ার` গল্পের নায়িকা জেনকে আমরা বহুবার বিপদে পড়তে দেখি।কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোনো ভালো মানুষ তাকে সাহায্য করে।
প্রকৃত অর্থে সমালোচনা কোনো ব্যক্তির জন্য খারাপ নয়।বরং নিজেকে আরো বেশি উন্নত করার একটা মূল্যবান সুযোগ এই সমালোচনা।
উদ্যোক্তা কিংবা চাকুরীজীবী হিসেবে বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায়।কারণ সন্তানদেরকে নিয়মিত পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং তাদের কে সঠিক শিক্ষা দিয়ে বড় করে তোলা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ।