ব্যবসায় টেকসই মার্কেটিং ব্যবস্থা 

ক্রেতার সাথে আলোচনা এবং তাদেরকে গিফট দেওয়া এতে করে আপনি আপনার রিয়েল কাস্টমার বেইজ তৈরি করতে পারবেন। এখন বড় বড় সব কোম্পানি প্রফিটেবল কাস্টমার তৈরির জন্য বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ফলো করে থাকেন।  

প্রতিষ্ঠান চালাতে প্রতিদিনই সাধারণ ও জরুরি বিষয়ে সদ্ধান্ত নিতে হয় আর সেজন্যে দরকার হয় মিটিং কল করা। এখন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত সবাই যে একটা সময়ে একই জায়গাতে থাকবে, তা না হতেই পারে! আর তাই যে যেখানেই থাকুক সেখান থেকেই জরুরি মিটিংয়ে অংশ নিতে পারে। 

সমাজে অবশ্যই সম্পদশালী অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে কিন্তু তাদের সবাই শুরুতেই এমন ছিল না! আর সমাজে কোনোভাবে টিকে থাকা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কম না! আর প্রফিট করতে না পেরে ব্যবসায় ছেড়ে দেয়ার মানুষও রয়েছে। সারাদিনের পরিশ্রমে একজন ব্যবসায়ী নিয়ম করে কিছু বিষয়ে গভীর চিন্তা করতে থাকে যেগুলো তার ঘরের মানুষ পর্যন্ত জানেনা বা জানতে পারেনা! আসুন তাহলে ইপ্রফিটের আজকের আয়োজনে দেখে নেই একজন ব্যবসায়ীর বা সফল ব্যবসায়ীর চারটি দুশ্চিন্তার বিষয়।  

বদ্ধ রুমে বিজনেস আইডিয়া নিয়ে যা ভাবা হয় বাস্তবে আসলে সেটা অভাবে হুবুহু প্রয়োগ করা যায়না। কারণ মানুষ ক্যখন চিন্তা করে, সেটি নিজের মতো করে কিন্তু যখন মাঠে নেমে আইডিয়ার প্রয়োগ করতে যায় তখন নিজের মতো করে আর কিছু থাকে না। ব্যবসায়ের বাজার ও মানুষের চাহিদা চলে তাদের মতো করে।  

কাজের চাপ কোথাওই কম নেই! হ্যা, ব্যবসার সবচেয়ে ভালো ও আনন্দের দিক হচ্ছে এটা স্বাধীন পেশা। এখানে নিজের সম্পূর্ণ সৃজনশক্তি ও মেধা দিয়ে সম্পূর্ণরূপে কাজ করার সুযোগ থাকে। কিন্তু এর মানে কিন্তু এই না যে পরিশ্রম কম! 

অধ্যাপক ফিলিপ কটলার বলেছেন, “আপনার কোম্পানির মূল ব্রান্ড এম্বাসাডর হচ্ছে আপনার কোম্পানির কর্মচারীরা। একটি কোম্পানিকে সামনের সাড়িতে নিয়ে আসার মূল ভুমিকা থাকে সেই কোম্পানিতে যারা কর্মরত আছেন তাদের কার্যক্রম। আপনার প্রোডাক্ট ভালো কিন্তু আপনার কর্মচারীরা সন্তুষ্ট না সেক্ষেত্রে আপনি কখনও বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না।“  

অধ্যাপক ফিলিপ কটলার তার এক ভিডিওতে বলেছেন  ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যখন কোম্পানিগুলো এডভারটাইজিং এবং সেলসম্যান ছাড়া ব্যবসা  পরিচালনা করবে। তার সেই কথার সাথে যদি মিল রেখে বলি আজকে যারা অনলাইন ব্যবসা করছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এখন এমনই দাঁড়িয়েছে।

আমার উদ্যোগের সাথে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা গুলো প্রোফাইলে লিখি। এতে পোস্টের সক্রিয়তা বাড়ে এবং বিক্রিতেও প্রভাব বাড়ে। পুরাতন ক্রেতারা নতুন ক্রেতা তৈরি করে। তাই নতুন অর্ডার পেতে বেগ পেতে হয় না। কোন প্রকার মার্কেটিং ব্যয় ছাড়াই গত রোজার ইদে ৯ দিনে ৯০ হাজার টাকার বেশি প্রোফাইলে বিক্রি হয়েছে।

সাধারণত ক্লাসিক বইগুলোতে শৈল্পিক ভাবে  ইতিহাস স্থান পায়। এবং সেই ইতিহাস আমাদের শত শত বছরের পুরোনো মানুষদের সাধারন জীবনযাপন,যুদ্ধ-বিদ্রোহ,ব্যাবসায়-বানিজ্য,ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে তথ্য দেয়।এই ধরনের তথ্য আমাদের চিন্তাধারায় অনেক বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

কাস্টমার রিলেশনশিপ বলতে মূলত বুঝায় কাস্টমার সেটিসফেকশন। এই বিষয়টা আপনারা কতখানি ঠিক রাখতে পারছেন এর উপর নির্ভর করে আপনার রিপিট কাস্টমার। যখন আপনি একজন কাস্টমারকে ভালো সেবা দেবেন এবং সে সন্তুষ্ট হবে তখন সে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে আপনার কাস্টমার হতে। কাস্টমার সেটিসফেকশন মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যার উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসার সফলতা।

বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানকে নৈতিক ও সামাজিক কাজে দায়বদ্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।  তবে হ্যা, একটি ব্যাপার বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় আর তা হলো - এই সব কিছুর জন্যেই প্রয়োজন আলাদা ফান্ড বা অর্থের যোগান। আর এজন্যেই ব্যবসায়ে মুনাফা অর্জন বৃদ্ধির গুরুত্ব অপিরসীম।

ক্রেতার চাহিদা খুঁজে বের করতে হলে ক্রেতার সাথে বসতে হবে, কথা বলতে হবে এবং বিভিন্ন গবেষণার  মাধ্যমে জানতে হবে আপনার পণ্য একজন ক্রেতা কেন ক্রয় করতে চাইবেন। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের ক্রেতার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়। এতে ব্যবসা শুরুর দিকে অনেক লস হলেও পরবর্তীতে যখন তাদের বিশ্বস্ত ক্রেতা তৈরি হয় তখন আর সে লস থাকেনা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণের কারণে কাস্টমার বিরক্ত হয়। বেশি বিরক্ত হয় যখন তারা অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধের পর পণ্যে কোনো ভিন্নতা খুঁজে না পায়। ব্যবসায়ে টিকে থাকাই একটা চ্যালেঞ্জ কারণ যেকোনো ব্যবসায়ে নামলেই দেখা যায় প্রতিদিন বাড়ছে প্রতিযোগীর সংখ্যা।

আপনি যত ভালোমানের কাস্টমার বেইজ তৈরি করতে পারবেন এবং তাদের সাথে লাভজনক একটি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন সেটা আপনার ব্যবসার জন্য সব সময় লাভজনক হিসেবেই প্রাধান্য পাবে।

চ্যালেঞ্জ বাড়লেও মুনাফা অর্জনের বা বৃদ্ধির গুরুত্ব কিন্তু কমেনা বরং বাড়তেই থাকে। ইপ্রফিটের আজকের আয়োজনে আমরা দেখবো কিভাবে যেকোনো ব্যবসায়ে মুনাফা অর্জন বৃদ্ধি করা যায়। 

নানা নানি চিন্তা মুক্ত থাকার কারণ ছোটবেলা থেকেই আমার জানা। তাদের জমিজামা (কৃষি) চলনসই। জমি বন্ধক দিয়ে বছর বছর বাড়তি আয়ও হয়। সব জমি যেহেতু বন্ধক দেন না তাই নিজের জমিতে পরিমাণমত চাষ করেন ধান, সরিষা, গম, আদা, রসুন, পেয়াজ, সবজি সহ প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র। আর এতে মিটে যায় বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা। তাই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে বা কমলে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না তাদের মনে।