ইকো ট্যুরিজমে লাভবান হবে সকলে

মূলত প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত পর্যটন ই ইকোট্যুরিজম। পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের উদ্দেশ্যে পাহাড় পর্বত, সাগর ঝর্ণা দেখতে নির্দিষ্ট কমিউনিটির মাধ্যমে দূরদূরান্তের ভ্রমণ করে। এ ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য থাকে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র উপভোগের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা। তাই ভ্রমণ কারীরা প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বশীল থাকেন এবং উপভোগ করেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্বপ্ন জয়ের দাড়ঁ উন্মুক্ত হলো। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি প্রান্ত যুক্ত হলো একে অন্যের সাথে। আগামীকাল রোববার ভোর থেকে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। 

এটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৪ সালে এ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ আট বছর পর ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। এ সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা।

সারা বছর তাঁতের খটখট শব্দ আর বুননে মিশে থাকে তাঁতিদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে বিভোর থাকে তাঁত পল্লী। সারা বছর শাল, কম্বল, সুতা বিক্রি হলেও অক্টোবর-জানুয়ারী এই ৪ মাস তাঁতিরা যেন অবসরের ফুরসৎ পায় না।  গ্রাম গুলোতে গেলে দেখা যায়,  নারী পুরুষ সবাই কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।

কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যদি কোনো দেশের নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অর্থাৎ ঐ পণ্য যদি একই অঞ্চল ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন সম্ভব না হয় তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্য  বলা হয়।

মানুষ যখন শহুরে জীবনে হাঁপিয়ে ওঠে তখনি যেতে চায় প্রকৃতির কাছে।  পেতে চায় প্রশান্তি এবং জানতে চায় সৃষ্টিকে।  আর সেখানেই ভূমিকা রাখে ইকোট্যুরিজম।  নদী, ঝর্ণা, পাহাড়, বনভূমি, সাগর, মাটি ও ফসল সহ প্রকৃতির প্রায় সবকিছুই রয়েছে ইকোট্যুরিজমের আওতায়।  আঞ্চলিক খাবারও রয়েছে ইকোট্যুরিজমে।

এক সময় কৃষি শিল্পের পরই ছিল তাঁত শিল্পের অবস্থান। মূলত পল্লী অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশে এই শিল্পের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। হস্তচালিত তাঁত শিল্প মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল। অতীতে বঙ্গ অঞ্চলের তাঁত বস্ত্র তথা ঢাকাইয়া মসলিন রপ্তানি হতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন অঞ্চলে। তাঁত বস্ত্রের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আসতো বঙ্গ অঞ্চলে।

সম্ভবত অতীতে মানিকগঞ্জ জেলার তাঁত শিল্পের ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করতে এগিয়ে আসে নি কেউ। যার ফলে তা পরিচিতি লাভ করে নি। এ জেলায় উৎপাদিত প্রায় শতভাগ তাঁত বস্ত্র বিক্রি হয় শুধু মাত্র টাঙ্গাইলের করটিয়া হাটে। এটি তাঁত বস্ত্রের একটি শতবর্ষি হাট।

চট্টগ্রামের তাঁত মূলত হ্যান্ডলুম তাঁত। এতে পিনন-হাদি বুনন করা হয় শুরু থেকে। আজও চলমান এই কাজটি। এর বুনিত পিনন ও হাদি দিয়ে ট্রেডিশনাল পোষাক ছাড়াও পিনন দিয়ে বানানো যা কামিজ এবং ওড়না হিসেবে থাকে হাদির ব্যবহার । এই দুটো মিলিয়েই পিনন ডিজাইনের টুপিস ড্রেস হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে পিনন এবং হাদি মিলিয়ে একটি সেট হয়।  

যুগ যুগ ধরে শাড়ি, থ্রিপিস, গামছা, লুঙ্গি, ওড়না সহ নানা রকম বস্ত্র নিয়ে সমৃদ্ধ মানিকগঞ্জের তাঁত শিল্প। প্রচারণার অভাবে তা দেশবাসীর কাছে অজানা ছিল। হয়তো পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে মানিকগঞ্জের তাঁত পণ্য ভিন্ন পরিচয়ে স্থান করে নিয়েছিল আপনার শরীরে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ’ডিজিটাল পল্লী’ নামক প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। যার বাস্তবায়ন করছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।