উদ্যোক্তাদের নিজ কাজে দক্ষ হওয়ার গুরুত্ব

উদ্যোক্তার কাজে বাধা আসবে,এটা বিজনেসের চিরায়ত নিয়ম।এতে শঙ্কিত কিংবা হতাশ হলে কাজের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হবে না।যারা বড় বিজনেসম্যান তাদের জন্য বিজনেস সামলানো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের থেকে অনেকটাই সহজ।

পড়াশোনার বিকল্প নাই।অনেকেই মনে করে উদ্যোক্তাদের আবার কিসের লেখাপড়া?বিজনেস করতে এলে পড়তে হবে কেন?কি লাভ আছে পড়ায়? এসব অমূলক প্রশ্ন করে এবং নিজেদেরকে পড়াশোনা বিমুখ রেখে ক্ষতিটা আসলে এদেরই হয়।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এই ভেজাল পারিবারিক, সামাজিক গন্ডি পেরিয়ে নিজের কর্মক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করে।আর কে না জানে - বিজনেসের প্রতি পদে পদেই ঝুঁকি রয়েছে?

শুরুতে মানুষ ই-কমার্স কে গুরুত্ব না দিলেও করোনা মহামারীর ভয়ংকর পরিস্থিতি আমাদের সবার জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিয়েছে।জীবনের তাগিদেই মানুষ হয়েছে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি মুখী।

বিজনেস এমন একটা চক্র যার চারপাশ জুড়েই রয়েছে ঝুঁকি।এই ঝুঁকি হতে পারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক,সমাজকেন্দ্রিক কিংবা বিজনেস সংক্রান্ত কোনো ইস্যুকেন্দ্রিক।যারা বড় বড় বিজনেসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একেক সেক্টরের জন্য একেক জন ব্যক্তি নিয়োজিত থাকে।

কিশোর ক্লাসিকস সিরিজ থেকে আমরা বিজ্ঞানকে ভুল কাজে ব্যবহার করার পরিণাম দেখতে পাই।আর যেহেতু এই গল্পগুলো সরাসরি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে তৈরী,তাই একজন পাঠক সহজেই গল্পের মধ্যে জীবন খুঁজে পান এবং আত্মনিমগ্ন হয়ে পড়েন।

একজন অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যখন কোন পণ্যের মার্কেটিং করতে চাইবেন তা কোথায় করবেন এবং কিভাবে বুঝবেন কারা আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা হবে এই বিষয় নিয়ে ।

আপনি যদি নিজের উদ্যোগের ফলে কি ধরনের সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে তা তুলে ধরতে পারেন তাহলে তা আপনাকে বাজারে টিকে থাকতে সাহায্য করবে ।

ফেসবুক পেজগুলো বুস্ট করার মাধ্যমে পৌঁছায় ক্রেতাদের কাছে তাই বেশিভাগ সময় তা হয়ে থাকে অপরিচিত। আর প্রোফাইলগুলো পৌঁছায় নিজে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে। তাই সক্রিয় লোকের প্রতিই মানুষের আগ্রহ বা ভরসা কাজ করে। পেজের তুলনায় প্রোফাইলগুলোতে ভেজালের সংখ্যা খুবই কম।

সানজিদা`স ডাইনের স্বত্বাধিকারী সানজিদা আফরিন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, রাজিব আহমেদ স্যারের ডাকা তিন দিনের কাবাব ওয়েভে ৪৬ টি অর্ডারের ১০৪৫ পিস কাবাব অর্ডার হয়েছে।” একই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, “ইতিহাসে মাইলফলক সৃষ্টি করার মত এক ঘটনা, যা শুধুমাত্র স্যারের আইডিয়াতে বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব।”

যেকোন বিষয় আপনি নিয়মিত থাকলে এগিয়ে যাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। ঠিক তেমনি আপনার উদ্যোগের সাথে সম্পর্কৃত বিষয়গুলো নিয়ে যদি আপনি প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা সময় পড়াশুনা করে থাকেন তাহলে সেটা আপনার পণ্যের  মার্কেটিং করতে অনেকটা সাহায্য করবে।  

ক্রেতারা স্বাস্থ্য বিবেচনা করে নির্ভরতা বাড়িয়েছেন হোম মেড কেকে। ব্যস্ত জীবনে চিন্তা মুক্ত থাকতে হোম মেড কেকে নির্ভর করছেন ক্রেতারা। অনেক সময় তারা থিম আর ফ্লেভার বলে দেন অথবা আমাদের মনের মত করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের সন্তুষ্ট করতে আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। ক্রেতারা সন্তুষ্ট হয়ে বার বার ফিরে আসেন আমাদের কাছে। এটি সবচেয়ে ভালো লাগার।

দেশে উৎপাদিত মিষ্টিগুলোর তথ্যবহুল কনটেন্ট ও প্রচার বাড়াতে গত ১লা জুলাই যাত্রা করেছে ‘শুধুই মিষ্টি’ নামক ফেসবুক গ্রুপ। মাত্র ৩ সপ্তাহে যুক্ত হয়েছে ১৭০০ এর বেশি মেম্বার। প্রতিদিন মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়ে ২ হাজারের বেশি পোস্ট আসছে এই গ্রুপে।

হোম মেড কেকের চ্যালেঞ্জ: হোম মেড কেকের দাম মার্কেটের তুলনায় বেশি ৷ সেটা চোখে পড়ে সবার। কিন্তু দামের জন্য মানের সাথে আপোস করতে পারি না। ভালোটা দিতে গেলে দেখা যায় খরচ একটু বেশিই পড়ে যায়। কম দামে খারাপ মানের জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু যদি সেগুলো ব্যবহার করি তাহলে আমাদের কেকের মান নষ্ট হয়ে যাবে৷

উদ্যোক্তাদের মতে, শাল মূলত শীতের পোশাক। কিন্তু মানুষ শীত বস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেয় মূলত গরমকালেই। তাই আগে থেকে শাল নিয়ে প্রচার হলে ক্রেতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং তাদের পছন্দের রং ও নকশা বাছাই করতে পারবে সহজে।

ফেসবুকে পপি ও তার ইপ্পি শপিং বেশ পরিচিত। পপি স্বপ্ন দেখেন নিজের নাম এবং দেশীয় তাঁতের পণ্যকে সারা বিশ্বে  তুলে ধরতে। পপির শক্তি তার ইচ্ছাশক্তি এবং নিজে জেনে জানানোর মানসিকতা। পুরাতন ক্রেতারাই বার বার কেনাকাটা করেন, তাদের থেকেও তৈরি হয় নতুন ক্রেতা ইপ্পি শপিংয়ে, এটিও অনেক বড় ধরণের একটি সাপোর্ট।  তাই মার্কেটিং ব্যয় করতে হয় না। তা ব্যয় করেন ডেলিভারি চার্জ ফ্রি দেওয়ার মাধ্যমে।  ফেসবুকে বিভিন্ন ছোট গ্রুপ ও নিজের টাইমলাইনে  নিয়েমিত পণ্য ও ক্রেতাদের নিয়ে তথ্যমূলক লেখালেখির কারণে অর্ডার পাচ্ছেন হরহামেশায়