কেন উদ্যোক্তাদের নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ?

"Marketing Mix" এটি মূলত হচ্ছে আপনার কোম্পানির সার্বিক দিক বিবেচনা করে মার্কেটিং করা। একজন ক্রেতাকে মূলত মার্কেটের মধ্যখানে রেখে বিবেচনা করা হয় আর এর চারিদিকে থাকে বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্রেটেজি। প্রতিটি কোম্পানি নিজেদের মার্কেটিং কেমন হওয়া উচিৎ তা মূলত ক্রেতার উপর নির্ভর করেই করে থাকেন

প্রতিটি উদ্যোগের কিছু উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য থাকে যখন আপনি এই বিষয়গুলো চিন্তা করে মার্কেটেং পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই আপনার কোম্পানি বা উদ্যোগ ভালো যায়গায় পৌঁছাতে পারে।

কেউ যদি গড়িমসি করে করেন ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ না করে চিন্তা করেন নতুন একটি করে ফেলবেন তাহলে পরবর্তীতে আইনত জটিলতায় পড়তে হবে। তাই ব্যবসার বৈধতা পেতে শুরুতে করতে হবে ট্রেড লাইসেন্স এবং তা সচল রাখতে এবং জরিমানা মুক্ত থাকতে প্রত্যেক বছর জুলাই মাসে নবায়ন করতে হবে।

ই-কমার্সের নারী উদ্যোক্তা বেশি কেন? তা পর্যালোচনা করে কয়েকটি বিষয় সামনে আসে, ই-কমার্স নারী উদ্যোক্তারা সন্তান সাথে নিয়ে বাসায় বসে কাজ করতে পারে। নিজের প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মেধার প্রয়োগ করতে পারে। অল্প মূলধন দিয়ে শুরু করতে পারে। সেই সাথে যেকোন জায়গা থেকে নিজের ব্যবসা সচল রাখতে পারে। মূলত এসব কারণে ই-কমার্সে নারীর অংশগ্রহণ বেশি।

দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ইউজার, একটিভিটি, মেম্বার সহ সবকিছুই বেশি। ইন্টারনেট ব্যবহাকারীদের সিংহভাগের রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। তাদের বেশিভাগ লোক কোন না কোন ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত। তাই আপনার পণ্য সম্পর্কিত একটি গ্রুপ বাছাই করে সেখানে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে নিজেকে পরিচিত ও দক্ষ করুন।

প্রতিটি উদ্যোগের প্রাণ বলা যায় ক্রেতা তথা ব্যবহাকারীদের। তাদের মাধ্যমেই চাহিদা তৈরি হয়। আর তা মেটাতে উৎপাদন বাড়াতে হয়। ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে খাতির করা খুবই দরকার। এতে করে একজন ক্রেতা বার বার ফিরে আসেন সেই উদ্যোক্তার কাছে। আর এরজন্য প্রয়োজন হয় না অতিরিক্ত মার্কেটিং বাজেট বা লোকবল।

মূলত নির্দিষ্ট এক বা একাধিক টপিকের উপর তৈরি করা হয় ‘ব্লগ’। আর ই-কমার্সের ব্লগগুলোও নিজেদের পণ্য, সেবা, ব্যবহার বিধি, ক্রেতার মতামত ও প্রয়োজনীয় টিপস শেয়ার করে। যেন ক্রেতার তথ্যের চাহিদা পূরণ হয় এবং আস্থা তৈরি হয়।

এই নিবন্ধন পদ্ধিতে যেন ফেসবুক ভিত্তিক উদ্যোক্তারাও যেন আসতে পারে তাই সরল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করে ডিবিআইডি নিবন্ধন করা যাবে। লাগবে না কোন ফি বা বাৎসরিক নবায়ন। অনলাইনে নিবন্ধন করে মাত্র ৬০ কর্মদিবসে উদ্যোক্তারা পাবে ডিবিআইডি সনদ।

ডিবিআইডির কারণে মিলবে বেশকিছু সুবিধা। এতে সকল কাস্টমারের কাছে সমান ভাবে তৈরি হবে ’আস্থা।’ এ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে যেকোন ধরণের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে পারবে সরকার। এতে বের হয়ে আসবে ডিজিটাল কমার্সে নারী-পুরুষ উদ্যোক্তার অনুপাত সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ও সমীকরণ।

এফ-কমার্সে বেশির ভাগ কাজই হয় প্রযুক্তির সাহায্যে। পণ্যের প্রদর্শনী, পণ্য সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ, গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ সহ সবকিছুই করা হয় প্রযুক্তির সাহায্যে। তাই প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকা বেশি দরকার। এছাড়াও ইমেইল, গুগলশীট, ফরম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সহ প্রয়োজনীয় টুলস ও সফটওয়্যার সম্পর্কে দক্ষতা থাকা আবশ্যক।

নবীন উদ্যোক্তা সবার কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে। যদি কোনো মতামত প্রদানের সময় আসে কিংবা নেতৃত্বের প্রয়োজন হয় একজন সাধারণ ছাত্রের চেয়ে যে শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা তার একটি বিশেষ অবস্থান তৈরী হয়। তার কাজের কারণেই তার প্রতি মানুষের আস্থা ও ভরসা থাকে। সমবয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যে সে হয়ে যায় একজন রোল মডেল। পুরোপুরি কর্মজীবনে যাওয়ার আগেই যখন কেউ স্বাধীনভাবে কিছু করতে চায় তার প্রতি মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।  

যখন কেউ স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসায় করতে এগিয়ে আসে, শুরু করার পর দেখতে পায় যে প্রতিদিন যেন প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে! এবং শুধু বেড়ে চলাই না, প্রতিটি প্রতিযোগী যেন আরো ভালো কিছু ও উন্নত কিছু নিয়ে ক্রেতার সামনে হাজির হচ্ছে প্রতিদিন!

ফেসবুক প্রোফাইল গুলো প্রত্যেকের নিজের রাজ্য। এখানে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে যেকোন ধরণের পোস্ট-কমেন্ট করা যায়। তাই দেখা যায়, কেউ কেউ ভাইরাল টপিক বা অন্যের পোস্ট শেয়ার করেন ইচ্ছামতো। তবে এদিকে সচেতন হতে হবে উদ্যোক্তাদের। নিজের প্রোফাইল কে বিজনেক প্রোফাইলে রূপান্তর করতে হবে।

ক্রেতা যেন সহজেই যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য পেজে একটা ফোন নাম্বার কিংবা ই-মেইল আইডি সংযুক্ত করা ভালো। এছাড়াও চেষ্টা করতে হবে পেজে ক্রেতা মেসেজ দিলে যথাসম্ভব দ্রুত রিপ্লাই দিতে।

কিছু কাস্টমার পণ্য ক্রয়ের সময় "কতটুকু জিতলাম আর কতটুকু হারলাম" এই চিন্তা করেনা। বরং দেখা যায় একটু বেশি পরিমানে কিনে সেই পণ্য সবার মধ্যে ভাগাভাগি করতেই আনন্দ পায় বেশি! তো, যখন বিক্রেতা বুঝতে পারে যে ক্রেতার ওরকম লাভ ক্ষতি নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই, তখন তাকে একটু বেশি কেনার জন্যে প্রভাব বিস্তার করা হয় কথার মাধ্যমে।

যদিও ফোর্সড সিলিংয়ে বলা হয় তৎক্ষণাৎ মূল্য পরিশোধ না করলেও চলবে, কিন্তু বিক্রেতার প্রয়োজনে যেকোনো দিন মূল্য চাইতে আসবে তারা এবং সেই চাওয়ার মাঝে থাকেনা আর পূর্বের সেই শ্রদ্ধা ও বিনয়! এর ফলে, কাস্টমারকে এক-কালীন অনেক মূল্য পরিশোধ করতে হয়। প্রথমে বলা হয় কাস্টমার তার সুবিধামতো সময়ে মূল্য শোধ করবে কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বিক্রেতার সুবিধামতো সময়েই হয় সবকিছু।